অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সেবা
জন্ম সনদ সংক্রান্ত সকল অনলাইন সেবার অফিসিয়াল লিংকে সহজে প্রবেশ করুন।
গুরুত্বপূর্ণ লিংক সমূহ
নতুন নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়তা
শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। আবেদনের জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- হাসপাতালের ছাড়পত্র বা টিকার কার্ড (শিশুদের জন্য)।
- বাবা ও মায়ের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং NID কার্ডের কপি।
- বাসার হোল্ডিং ট্যাক্স বা জমি/বাড়ি ভাড়ার দলিলের রশিদ।
- আবেদনকারীর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)।
প্রক্রিয়া: অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করে প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিন।
তথ্য সংশোধনের নিয়মাবলী
জন্ম নিবন্ধনে যেকোনো ধরনের ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করা যায়। যে তথ্য সংশোধন করতে চান, তার সাপেক্ষে প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়।
- নিজের নাম, পিতার নাম বা মাতার নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, বাবা-মায়ের NID কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন।
- জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (বিশেষ করে SSC/সমমান) অথবা ডাক্তারের প্রত্যয়নপত্র আবশ্যক।
- ঠিকানা সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ/গ্যাস বিলের কপি, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ বা জমির দলিলের কপি জমা দিতে হবে।
প্রক্রিয়া: অনলাইনে সংশোধনের আবেদন করে প্রিন্ট কপি ও প্রামাণ্য দলিলাদিসহ নির্ধারিত অফিসে যোগাযোগ করুন। সংশোধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে এখন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন করা অনেক সহজ। ঘরে বসেই আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
ধাপ ১: অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ
আপনার ব্রাউজার দিয়ে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে যান বা উপরের লিংকে ক্লিক করেন। এবং নতুন জন্ম নিবন্ধন অপশনে ক্লিক করুন। প্রথমেই নিবন্ধন করার স্থান (জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা) সিলেক্ট করুন।
ধাপ ২: শিশুর পরিচিতি প্রদান
শিশুর নাম (বাংলা ও ইংরেজি), জন্মতারিখ, লিঙ্গ এবং জন্মস্থানের সম্পূর্ণ ঠিকানা প্রদান করুন। নামের বানান সাবধানে লিখুন, কারণ পরে সংশোধন করতে আলাদা প্রক্রিয়া করতে হবে।
ধাপ ৩: পিতা-মাতার তথ্য
পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিন। নম্বর দিলে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের নাম প্রদর্শন করবে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
ধাপ ৪: ঠিকানার তথ্য
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রদান করুন। যদি জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, সংশ্লিষ্ট বক্সে টিক দিন।
ধাপ ৫: আবেদনকারীর তথ্য
প্রাপ্তবয়স্ক নিজের জন্য আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন। অভিভাবক আবেদন করলে অন্যান্য সিলেক্ট করে তথ্য দিন।
ধাপ ৬: রিভিউ ও সাবমিট
সব তথ্য রিভিউ করে সাবমিট করুন। সফল হলে একটি Application ID পাবেন—এটি সংরক্ষণ করুন।
ধাপ ৭: প্রিন্ট ও অফিসে জমা
আবেদন পত্র প্রিন্ট করুন। গুরুত্বপূর্ণ: প্রিন্টের সময় Headers and Footers অন রাখুন। প্রিন্ট কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় অফিসে জমা দিন।
ধাপ ৮: সনদ প্রাপ্তি
যাচাই সম্পন্ন হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাবেন। সনদ পাওয়ার পর everify.bdris.gov.bd-এ গিয়ে সত্যতা যাচাই করতে পারেন।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম
আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন:
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর (১৭ ডিজিট)
- জন্ম তারিখ (YYYY-MM-DD ফরমেটে)
ধাপ ১: ওয়েবসাইটে প্রবেশ
everify.bdris.gov.bd লিংকে প্রবেশ করুন বা উপরের লিংকে ক্লিক করেন । এটি জন্ম নিবন্ধন যাচাই এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
ধাপ ২: নিবন্ধন নম্বর প্রদান
Birth Registration Number ঘরে আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখুন। সরাসরি সনদ থেকে দেখে লিখুন—একটি ভুল হলে তথ্য পাবেন না।
ধাপ ৩: জন্ম তারিখ প্রদান
Date of Birth ঘরে YYYY-MM-DD ফরমেটে জন্ম তারিখ লিখুন। উদাহরণ: ২৫ আগস্ট, ১৯৯৮ হলে লিখুন 1998-08-25
ধাপ ৪: ক্যাপচা সমাধান
ক্যাপচা ইমেজে গাণিতিক সমস্যা দেখানো হবে। সমাধান করে নিচের ঘরে লিখুন।
ধাপ ৫: সার্চ ও তথ্য যাচাই
Search বাটনে ক্লিক করুন। সঠিক তথ্য দিলে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য প্রদর্শিত হবে। Record not found মানে ভুল তথ্য দিয়েছেন বা সনদটি ডিজিটাল নয়।
ধাপ ৬: যাচাই কপি ডাউনলোড
তথ্য প্রদর্শিত হলে আপনি যাচাই কপি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এই কপি বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যবহার করা যায়।
সমস্যা সমাধান:
- • তথ্য না পেলে নিবন্ধন নম্বর ও তারিখ পুনরায় চেক করুন
- • Record not found মানে হতে পারে সনদটি এখনও ডিজিটাল করা হয়নি
- • সমস্যা বহাল থাকলে স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করুন